
নিরাপদ খাদ্যের প্রয়োজনীয়তাঃ
সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিটা মানুষের প্রয়োজন বিশুদ্ধ ও পুষ্টিকর খাদ্য। যা। সুস্থ ও সমৃদ্ধ জাতি গঠনে একান্ত অপরিহার্য কিন্তু বাংলাদেশের বিশুদ্ধ খাবার কঠিন করে ফেলেছে কিছু বিবেক হীন অসাধু ব্যবসায়ী। খাদ্য পণ্যে ভেজালের কারণে আমরা প্রতিনিয়ত দেখতে পাচ্ছি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে রোগীর লম্বা লাইন। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের বিষাক্ত খাদ্য জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি শীর্ষক সেমিনারে বলা হয় শুধু ভেজাল খাদ্য গ্রহণের ফলে দেশে প্রতিবছর প্রায়। ৩ লাখ লোক ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে, ডায়বেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা ১.৫ লাখ, কিডনি রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ। কালের কণ্ঠের রিপোর্ট অনুযায়ী প্রতিবছর ৪ শতাংশ পরিবার শুধুমাত্র চিকিৎসা করাতে গিয়ে দারিদ্রদ্র্যসীমার নিচে চলে আসে খাদ্যে ভেজালের কারণে। মানুষের মাঝে চিকিৎসা গ্রুণের হার বাড়ছেই অথচ নিরাপদ খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে সকল রোগ প্রতিরোধের পাশাপাশি সাশ্রয় হবে ওষুধ এবং চিকিৎসা খাতে ব্যয় ইন শা আল্লাহ।
মানুষের সুস্থতার জন্য নিরাপদ খাদ্য উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে। কমাতে পারে চিকিৎসা ব্যয়। দেশের মানুষকে ভেজাল মুক্ত নিরাপদ খাদ্য খাওয়ানোর স্বপ্ন নিয়ে ২০১৬ সালে যাত্রা শুরু করে শতমূল এগ্রো। আমরা নিষ্ঠা আর পেশাদারিত্বের সাথে ব্যবসা করছি। ক্রেতাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক ভালোবাসার। ক্রেতদের না ঠকানো, ওজনে কম না দেওয়া, বিক্রিত পণ্য ফেরত নেওয়া একসময় সৎ ব্যবসায়ীদের মধ্যে ছিল আমরা চাই সেটাকে পুনরুজ্জীবিত করতে। মানুষ যেন আমাদের পণ্য নিয়ে নিশ্চয়তা পায় এবং তাদের কষ্টের টাকায় কেনা পণ্য বিফলে না যায় তার দিকে আমরা খেয়াল রাখি। দেশটা আমাদের, দেশের মানুষের আমাদের আপনজন। আমরা আমাদের কার্যক্রমকে কখনো শুধু ব্যবসা হিসেবে দেখি না, বরং সেবা হিসেবে দেখি। আমরা মনে করি এটা হচ্ছে মানুষের সেবা করার সুযোগ যা আল্লাহ সুবহান ওয়া তা’আলা আমাদেরকে দিয়েছেন। আমরা চাই নিজে ব্যবসা করার পাশাপাশি কিছু মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হোক কিছু মানুষের হালাল এবং সৎ ভাবে বাঁচার উপায় সৃষ্টি হোক। আমাদের সব সময় চেষ্টা থাকে, কিভাবে আরো ভালো পণ্য এবং সেবা নিয়ে আপনাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাওয়া যায়। যাতে মনে হয় শতমূল এগ্রো কি দূরের কেউ নয় সে আপনার খুব আপনজন।
২০১৬ তে যাত্রা শুরু করে আজ আমরা অনেক দূর এগোতে সক্ষম হয়েছি। প্রথম দিকে অন্যের মিলে আমাদের উপস্থিতিতে পন্য উৎপাদন প্রক্রিয়া চললেও আজ আমরা নিজেরাই মিল স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের রয়েছে নিজস্ব সরিষা তেলের মিল, মসলা-হার্বস ভাঙ্গানোর মিল, চালের মিল, ঘি ও সেমাই কারখানা। মাংস উৎপাদনের জন্য আমাদের রয়েছে গবাদি পশু সহ হাঁস মুরগির খামার। বিশুদ্ধ খাদ্য উৎপাদনের জন্য আমাদের আরো কিছু প্রজেক্ট রয়েছে, যা ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। উৎপাদনের পাশাপাশি সরাসরি বিক্রয় করার জন্য ঢাকার বনশ্রীতে আমাদের একটি আউটলেট বা ডিসপ্লে সেন্টার রয়েছে। এছাড়া অনলাইনের মাধ্যমে সারা দেশে আমরা আমাদের পণ্য বিক্রয় করে থাকি।
আমরা স্বপ্ন দেখি সেদিনের, যেদিন আমাদের প্রিয় দেশে কোনো ভেজাল পণ্য থাকবেনা “শতমূল এগ্রো”- হবে নিরাপদ খাবার গ্রহণের অন্যতম বড় মাধ্যম, ইনশাআল্লাহ
আমাদের আউটলেট
📌আউটলেট ১
বাড়ি: ৮, রোড: ৯, ব্লক: ডি,বনশ্রী, রামপুরা,ঢাকা।
01405-909192
📌আউটলেট ২
হাজী নূর বানু জামে মসজিদের নিচ তলা,ব্লক-জি,রোড-০৪,বনশ্রী, রামপুরা,ঢাকা।
01901-638686
📌আউটলেট ৩
প্লট ২১, রোড ২০, সেক্টর ১৪, উত্তরা, ঢাকা, বাংলাদেশ, ১২৩০
09609669966
আমাদের ভিশন হলো বিশ্বমানের উৎপাদন প্রক্রিয়া ও মান নিয়ন্ত্রিত প্রসেসিং প্লান্ট স্থাপন করার মধ্যমে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন লক্ষ্য মাত্র আরো বাড়ানো। আমাদের মতো যারা মানুষকে নিরাপদ খাদ্য খাওয়ানোর আন্দোলনে অংশগ্রহন করছে তাদের মাধ্যমে বি টু বি প্রক্রিয়ায় সারা দেশের মানুষের কাছে আমাদের পণ্য পৌছে দেওয়া।
মানুষের সুস্থতার অন্যতম প্রধান হাতিয়ার প্রাকৃতিক স্বাদের নিরাপদ খাদ্য সাধারন মানুষের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য কাজ করা। নিজেস্ব উৎপাদন ও প্রসেসিং কারখানা তৈরি করার মাধ্যমে ভেজাল মুক্ত হওয়ার নিশ্চয়তা প্রদানের পথে অগ্রসর হওয়া।
২০১৬ সালে যাত্রা শুরু করে অসংখ্য ক্রেতার নিকট সাফল্যের সাথে নিরাপদ খাদ্য পৌঁছে দিতে পেরেছি। কাষ্টমারদের কাছে সরাসরি পৌছানোর জন্য ঢাকার বনশ্রীতে আমাদের আউটলেট রয়েছে। আমরা তৈরি করতে পেরেছি নিজস্ব সরিষা তেলের মিল, মশলা-হার্বস ভাঙ্গানোর মিল, চালের মিল, ঘি ও সেমাই কারখানা। আমাদের রয়েছে নিজস্ব গবাদি পশু ও হাঁস মুরগির খামার।