মধুতে রয়েছে অসংখ্য পুষ্টিগুণ। এতে গ্লুকোজ ও ফ্রুকটোজ থাকার কারণে এটি দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ যেমন পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ এবং প্রোটিন। এনজাইম বা উৎসেচকও মধুর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা দেহের কার্যক্রম সঠিক রাখতে সহায়তা করে।
মধুতে নেই কোনো কোলেস্টেরল, তাই সুস্থ বা অসুস্থ—সবার জন্য এটি নিরাপদ ও উপকারী। এটি দেহকে আরোগ্য দেয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরের সার্বিক সুস্থতা নিশ্চিত করে। জান্নাতের বর্ণনায় থাকা মধু আল্লাহর দেওয়া আরেকটি নিদর্শন, যা আমাদের জন্য চিন্তা ও কৃতজ্ঞতার প্রেরণা।
মধু শুধু খাবার নয়, এটি আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে একটি বিশেষ নেয়ামত। কুরআন এবং হাদিসে মধুর গুরুত্ব বারবার উল্লেখ করা হয়েছে। সূরা নাহলে আল্লাহ বলেন, “তার পেট থেকে নির্গত হয় বিভিন্ন রংয়ের পানীয়, যাতে মানুষের জন্য রয়েছে আরোগ্য” (সুরা নাহল: ৬৯)।
নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, "যে ব্যক্তি প্রতি মাসে তিন দিন সকালে মধু চেটে খাবে, তার বড় ধরনের কোনো রোগ হবে না” (ইবনে মাজাহ: ৩৪৪১)।
মিশ্র ফুলের মধু বিভিন্ন ফুলের নির্যাস থেকে সংগৃহীত একটি প্রাকৃতিক মিষ্টি উপাদান। এটি হালকা অ্যাম্বার থেকে গাঢ় বাদামী রঙের এবং মৌসুমভেদে স্বাদে ভিন্নতা আসে।
পুষ্টিগুণে ভরপুর এই মধুতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, গলা ব্যথা উপশম করে এবং সর্দি-কাশিতে উপকারী। এটি চা, সালাদ বা ডেজার্টে ব্যবহারযোগ্য।
ত্বকের যত্নেও এটি কার্যকর, কারণ এতে রয়েছে ময়শ্চারাইজিং ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ। স্বাদ ও স্বাস্থ্য উভয়ের জন্যই মিশ্র ফুলের মধু প্রকৃতির এক অমূল্য উপহার।
সরিষা ফুলের মধু (MUSTARD HONEY)
মৌমাছি বিভিন্ন ফুল থেকে রস সংগ্রহ করে সেগুলো দিয়ে মধু তৈরি করে। মৌচাক পরিণত অবস্থায় পৌঁছলে মোম থেকে মৌমাছি সরিয়ে সংগ্রহ করা হয়। সবচেয়ে ভাল মধুর ফুল হলো শর্ষে বা সরিষা। একে মৌ ফুলও বলা যায়। সরিষা ক্ষেতের পাশে মৌবাক্স স্থাপন করে কৃত্রিম পদ্ধতিতে ভ্রাম্যমাণ মধু সংগ্রহ হয়। বর্তমানে সরিষা ফুলের মধু সর্বোত্তম মধু হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। মৌমাছিরা সরিষার ফুল থেকে যে মধু সংগ্রহ করে মৌচাক বানায় সেখানেই মেলে উন্নত মানের মধু। অভিজ্ঞ ও প্রশিদ্ধ মৌচাষীদের দ্বারা সরিষা ফুলের মধু আহরন ও সংগ্রহ করে কোন প্রকার মিশ্রণ ছাড়া সারা বৎসর বাজারজাত করি তাই এ মধুর স্বকীয়তা, গুণগত মান, নিয়ে আপনাকে আমরা শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারবো ইনশাল্লাহ।
সরিষা ফুলের মধুর একটা বৈশিষ্ট্য- জমে যায়। আসলে মধু জমাটা একটা প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। মধু জমলে রং বদলে যায়, তরল থেকে দানাদার হয়ে যায় কিন্তু মধুর গুনগত মান কমে না্। যে মধুতে গ্লুকোজের পরিমাণ বেশি সেই মধু জমে তাড়াতাড়ি ।জমা মধুটার স্বাদটা আরো চমৎকার !
শতমূল এগ্রোর কালিজিরা মধু (Black Seed Honey): কেন আমাদের থেকে কিনবেন?
১. নির্ভরযোগ্য উৎস: আমাদের কালিজিরা মধু সরাসরি কালিজিরা ফুলের নেকটার থেকে সংগ্রহ করা হয়, যা খাঁটি ও সেরা মানের নিশ্চয়তা দেয়।
২. শতভাগ বিশুদ্ধতা: কোনো মিশ্রণ বা ভেজাল ছাড়াই আমরা সরবরাহ করি প্রকৃতির খাঁটি মধু।
৩. নিজস্ব তত্ত্বাবধান: মধু সংগ্রহ থেকে শুরু করে প্যাকেজিং পর্যন্ত প্রতিটি ধাপ আমাদের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হয়, যা মান বজায় রাখতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পরিচালিত হয়।
শতমূল এগ্রো-র কালিজিরা মধুতে পাবেন প্রকৃতির বিশুদ্ধ স্বাদ ও স্বাস্থ্যকর পুষ্টি। আপনার পরিবারের সুস্বাস্থ্যের জন্য এটি হতে পারে আদর্শ পছন্দ।
উত্তরবঙ্গের লিচু বাগানের সৌন্দর্য শুধু লিচুর মিষ্টিতেই নয়, মৌমাছিরা এখানকার লিচু ফুলের রস থেকে তৈরি করে অনন্য স্বাদের মধু। কাঠের তৈরি বিশেষ বাক্সে মৌ চাষ করে অভিজ্ঞ মৌচাষীরা সংগ্রহ করেন এই মধু, যা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ও বিশুদ্ধ। মৌমাছি বিভিন্ন ফুল থেকে রস এনে মধু তৈরি করে, এবং মৌচাক পরিপক্ব হলে তা সংগ্রহ করা হয় সতর্কতার সঙ্গে।
লিচু ফুলের মধু তার স্বাদ ও পুষ্টিগুণে অতুলনীয়। আমাদের অভিজ্ঞ মৌচাষীদের হাতে আহরিত এই মধু কোনো মিশ্রণ ছাড়াই বাজারজাত করা হয়, যা সারা বছর সরবরাহ করা সম্ভব। আমরা গুণগত মান, স্বকীয়তা এবং বিষমুক্ততার প্রতিশ্রুতি নিয়ে আপনার জন্য নিয়ে আসি লিচু ফুলের বিশুদ্ধ মধু। ইন শা আল্লাহ, আমাদের প্রতিটি বোতলে রয়েছে প্রকৃতির শতভাগ খাঁটি স্পর্শ।